16 mins read
‘তোমার পতাকা যারে দাও…’
প্রার্থনারত মানুষকেই আমরা সবচেয়ে শান্তিপ্রিয় ধরে নেই, তিনি যে ধর্মেরই হোন; উপাসনা শেষে উঠে আসা মানুষ কখনো সহিংস হতে পারেন না। সেই শান্তিপ্রিয় উপাসনাকারী মানুষদের ইমেজকেই ব্যবহার করা হলো এদেশের মূল প্রতীকগুলোকে আঘাত করার জন্য। করলেন তারা যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে এসেছেন বরাবর। ১৯৭১ সালেও মসজিদের ইমাম রক্ষা পাননি এই শক্তির কাছে। অথচ একটু ঘুরে দাঁড়ালেই এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষেরা জাতীয় পতাকার বিপরীতে তাঁদের দাঁড় করিয়ে দেবার এই রাজনৈতিক কূটচালের ব্যাপারে সচেতন হয়ে উঠবেন বলে আমার বিশ্বাস। ফের এমন কোন উদ্যোগ তারা নিজেরাই প্রতিহত করবেন। ইসলামসহ সব ধর্মের শান্তিপূর্ণ রুপটি এই বাংলা থেকেই বিশ্ববাসী সবচেয়ে পরিপূর্ণভাবে অনুভব করা সম্ভব বলে মনে করি, কারণ সব ধর্মের সহমর্মিতার নির্যাস সংহত হয়েছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়।
4 mins read
শাহবাগ ২০১৩
আমি বেড়ে উঠেছি সামরিক শাসকদের ক্রুর সময়ে,
মুক্তিযুদ্ধ শব্দটিই নিষিদ্ধ ছিলো তখন; যেমন নিষিদ্ধ
ছিলো জয় বাংলা, বঙ্গবন্ধু, কিংবা স্বাধীন বাংলা বেতার
কেন্দ্রের গান। আসলে বাংলাদেশ ধারণাটিই নিষিদ্ধ ছিলো
তখন। আর জানো ত সাত-ই মার্চকে ভুলিয়ে দিতেই
রেসকোর্সের মাঠকে করা হয়েছিলো শিশুপার্ক…
4 mins read
যমের দুয়ারে দিলাম কাঁটা
এবং যেহেতু কোটি মোমের স্নিগ্ধ শিখায় শাহবাগে
আকাশ-গঙ্গা তৈরী হয়েছিল আগের সন্ধ্যায় , তারও
আগে তিন মিনিটের নিস্তব্ধতায় প্রতিবাদী মহাকাল
নির্মিত হয়েছিলো সারাদেশে উদ্বেল চেতনার রঙমশালে,
রাজীব ভেবেছিলো পথ নিরাপদ হয়েছে, কারণ আলোর
এমন চ্ছটার কাছে অন্ধকার দাঁড়াতেই পারে না…