গত বছরের শিক্ষা বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছিলো ৬৯,৬৪৩ কোটি টাকা, যা ছিলো মূল বাজেটের ১১.৯২% এবং জিডিপি’র ২.০৮%।
এবার প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে শিক্ষা বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। পরিমাণ ৮১, ৪৪৮ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের তুলনায় ১১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ বেড়েছে। এই বরাদ্দ মূল বাজেটের ১২% শতাংশ, তার মানেএকটু হলেও বেড়েছে। শুনতে খুব ভালো। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে জিডিপির শেয়ারে এটা দাঁড়িয়েছে ১.৮৩ শতাংশ, যা গত বছরে ছিলো ২.০৮ শতাংশ। তাহলে শিক্ষা বাজেট কি বাড়লো আসলে?
এই শিক্ষা-গবেষণা বরাদ্দের মধ্যে কিন্তু রুপ্পুর পারমাণবিক কেন্দ্রের জন্য বৈজ্ঞানিক গবেষণা জাতীয় বিভিন্ন মেগা প্রজেক্ট গবেষণাও অন্তর্ভুক্ত। মূদ্রাস্ফীতি বেড়েছে সত্যিকারের চ্যালেঞ্জ নিয়ে যা গত তিনমাসে ৬শতাংশের উপরে।
এই মূহুর্তে ভারতে শিক্ষার জন্য বরাদ্দ ৩.১%, নরওয়ে ৬.৪%, যুক্তরাজ্যে ৬.২%।
ইউনেস্কো বলে বাজেটের ২৫% এবং জিডিপি’র ৬% শিক্ষাখাতে বরাদ্দের কথা। লেখা হয়েছিলো এরশাদের পতনের পরে সর্বদলীয় ছাত্রদের ১০ দফায়।
না আছে শিক্ষকদের আন্দোলন এই প্রসঙ্গে। না আছে ছাত্রদের। আন্দোলন না থাক, আলোচনা তো হওয়া চাই! অথচ ৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনের কথা তোতা বুলির মত আওড়ানো হয় সকল রাজনৈতিক আলোচনায় ৫২,৫৪,৬২,৬৬,৬৯, ৭১-এর ঐতিহাসিক বর্ণ্না দিতে গিয়ে।