4 mins read
শিল্পী আর পাহারাদারের ব্যবধান তুমি কীরুপে ঘুচাইবে মা’বুদ?
সৃজন করিলো যে
আপন মনের রঙ-রুপে,
সেই ভাসাইলো রে সেই ডুবাইলো,
কেউ কাটিলে, ভাঙ্গিলেই বা কী আসে যায়!
আসছে আশ্বিনে নয়তো ফাল্গুনে কিংবা বর্ষায়
সে ফের করিবে সৃজন।
সৃজন নাই যার
যে শুধু করিলো রক্ষণ,
বাড়াইলো না রঙ-রুপ
দেখিলো না কিছু
হইলো শুধুই পাহারাদার।
এখন শিল্পী আর পাহাদারের ব্যবধান, মা’বুদ,
তুমি কীরুপে ঘুচাইবে?
রঙ-তুলিতে ফের উঠিবে ছবি,
নাকের নথ আর নকশীদার ফুল;
বাঁশ হইবে বাঁশি,
শিল্পীর বাঁশিতে ফের উঠিবে সুর;
চুলের বিনুনীতে মুগ্ধ গোলাপী ফিতায় অপরুপ,
চোখের কাজলে ফের নিজের রুপেই সে হইবে আকূল।
শুধুই যে পাহারাদার,
বড় আশা তার হইবে চৌকিদার,
কিংবা বড়জোর দারোগা থানার;
লাঠি তাহার ভাঙ্গিবে কাহারো মাথা
কিংবা থ্যাঁতলাইবে জীবন।
মা’বুদ, শিল্পী আর পাহারাদারের ব্যবধান তুমি কীরুপে ঘুচাইবে?
Your Opinion