4 mins read
মেয়েগুলো যখন শালিক হয়ে ঘোরে আঙ্গিনায়
দোকানটা পুড়িয়েই তো দেয়া যায়
চাইলেই হয়, ঘরটাও;
ঘরটাও নেহাতই ছনের
এক দেশলাই কাঠি, একটু কেরোসিন
এ আর এমন কী কঠিন!
ছিঁড়েছিলো যে শাড়ি সেদিন বিকেলে
সেই শাড়ি ফের গায়ে দিয়ে দিব্যি দিনপার
হরি হরি, বেজায় যে জার!
এক টুকরো কুয়াশায়
ছোট বস্তায়
ছেঁড়া শাড়ি
ভাঙ্গা বাতি
বিয়ের মালাশাড়ি
সিন্দুর-শাঁখা
আর হাড়ি-কুড়ি
সব এঁটে যায়
হিলি খুব দূরে নয়
তবু ‘লাইন খোলা নয়’ অজুহাতে
থেকে যাওয়া;
না কি তুলসীমঞ্চের মায়া?
থাকা-না-থাকা কিংবা যাওয়া-যেতে না পারার মাঝখানে
প্রীতম পাড়া আর তেলিপাড়ার মাঠ
কলঙ্ক, হুঁ হুঁ বাতাস।
জয়তী আসবে না রাতে আর কোনদিন
মা আলতা রানী জানে
জানে ঘরের আলগা ছন
আঙ্গিনার ফিঁকে আলপনা
শিম-মাচার বেগুনিবাহারি ফুল
দীপ্তি রানী রায়
রোহিনী রায়
জবা রায়
লাভলী রানী রায়
বীণা রানী
ক্ষেতের মটর ঘন সবুজ হয়ে উঠবার আগেই,
পুকুরে্র জলে ধোঁয়া-ওঠা শীত উষ্ম তরল সুখ হয়ে উঠবার আগেই
শালিক পাখি হয়ে গেছে;
আর মা আলতা রানী হয়ে গেছে দুই ধারা চোখের জল
মাঠের ডাহুক কিছুটা বুঝেছে সে জলের মানে
কিংবা কিছু মেঠো শামুক
হয়তোবা ধেঁড়ে ইঁদুরও
মানুষ বোঝেনি এই কান্নার মানে
আমিও বুঝিনি।
Your Opinion