15 mins read
এবং বাজার মৌলবাদের বেনোজলে নারী
পাশ্চাত্যের নারীবাদীরা গণমাধ্যমে নারীর অপ-রূপায়ন প্রসঙ্গে প্রচুর লিখেছেন। এসব লেখালেখির মাধ্যমে একধরণের সচেতনতা অবশ্যই তৈরি হচ্ছে, বিশেষ করে একাডেমিক এবং অ্যাক্টিভিস্টদের মধ্যে। এমনকি এসব লেখালেখির মাধ্যমে নানা ধরণের কোর্স চালু হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে, কিন্তু এসব লেখালেখি বাস্তব অবস্থার খুব পরিবর্তন আনতে পেরেছে সমাজে, নিদেনপক্ষে গণমাধ্যমগুলোতেও, এমনটা বলা মুশকিল। গণমাধ্যমে এবং সমাজে এই পরিবর্তনহীনতার কারণ বোঝা যায়। সম্পদ এবং গণমাধ্যমে নারীর অংশগ্রহণ এখনো খুবই সীমিত। গণমাধ্যমে নারীর বাণিজ্যিক অপরূপায়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ খুবই ইস্যু-ভিত্তিক, মোটেই কোন পূর্বাপর সমন্বিত পরিকল্পিত কোন কাঠামো নেই এসব প্রতিবাদের। এসব প্রতিবাদও আবার মূলধারার গণমাধ্যমে বা জনপরিসরে জায়গা পায় না।
15 mins read
ধর্মীয় অতিরিক্তপনার যুগে নারী এবং তার মুক্তি আন্দোলন
একটি বিষয় বিশেষভাবে খেয়াল করার রয়েছে যে, ধর্মীয় মৌলবাদ প্রায় সবক্ষেত্রেই দক্ষিণপন্থী রাজনীতি দ্বারা সমর্থিত। শুধু পুরুষই নন, বেশ বড় সংখ্যক নারীও এসব মৌলবাদী দলের সাথে যুক্ত এবং তারা তাদের দলের জেন্ডার এজেন্ডাকে বহন করেন। এভাবেই আমরা একটি নতুন ধারণার সাথে পরিচিত হই- ‘দ্বি-নারীবাদ’ (Two Feminisms)। পরিচিত করান আফরেই (১৯৯৯)। এযাবতকালে যে ধারার নারীবাদই হোক না কেন, ‘নারীবাদ’ শব্দটি পুরুষতন্ত্রের বিরোধী একটি শব্দ। কিন্তু এই নতুন নারীবাদ জেন্ডার সম্পর্কের পুরুষতান্ত্রিক মডেলের প্রতিনিধিত্ব করে।
7 mins read
এই দুষ্টামির অবসান কে করবে?
শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রক্টর ঘটনাটিকে অস্বীকার করেছেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন যে লিটন নন্দী ছাড়া এই ঘটনার কোনো সাক্ষী নেই, কোনো নারী তো কোনো অভিযোগ দেননি, এমনকি তিনি পুলিশকে সোপর্দ করার বিষয়ে লিটন নন্দীর দাবিকেও অস্বীকার করার জন্য পুলিশকেই সাক্ষ্য মেনেছেন।
6 mins read
বাংলাদেশ কি নেভাবে না এ আগুন?
শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রক্টর ঘটনাটিকে অস্বীকার করেছেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন যে লিটন নন্দী ছাড়া এই ঘটনার কোনো সাক্ষী নেই, কোনো নারী তো কোনো অভিযোগ দেননি, এমনকি তিনি পুলিশকে সোপর্দ করার বিষয়ে লিটন নন্দীর দাবিকেও অস্বীকার করার জন্য পুলিশকেই সাক্ষ্য মেনেছেন।
7 mins read
অস্বীকারের রাজনীতি
শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রক্টর ঘটনাটিকে অস্বীকার করেছেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন যে লিটন নন্দী ছাড়া এই ঘটনার কোনো সাক্ষী নেই, কোনো নারী তো কোনো অভিযোগ দেননি, এমনকি তিনি পুলিশকে সোপর্দ করার বিষয়ে লিটন নন্দীর দাবিকেও অস্বীকার করার জন্য পুলিশকেই সাক্ষ্য মেনেছেন।
7 mins read
পাল্টে গেছে পরীক্ষা-দিনের ঘ্রাণ
আমি ঢাকার কথা জানি না, কিন্তু জেলা শহরগুলোতে দেখেছি, পরীক্ষার দু-এক দিন আগে আশপাশের বাড়ির মুরব্বিরা এসে খোঁজ নিতেন, নয়তো পরীক্ষার্থীরাই যেত আশীর্বাদ নিতে। পরীক্ষার দিনে তেল-জবজবে মাথায় পানি ঢেলে, পবিত্র চেহারায় ছেলেমেয়েরা যেত পরীক্ষা দিতে।
8 mins read
‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা কাজ করেন না’!
শিক্ষকদের কাজ কম, এটি একটি মিথ। এই মিথের নির্মাণ সম্ভব হয়েছে শিক্ষকদের তরফ থেকে প্রতিবাদ না আসার কারণে এবং শিক্ষার্থীদেরও শিক্ষকদের কাজ সম্পর্কে ধারণা না থাকার জন্য।
7 mins read
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জয়ী হোক
ডাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই আমাদের অনেক বছরের মেনে নেওয়ায় অভ্যস্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিসর যেন হঠাৎ অনেকটাই পাল্টে গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রায় তিন দশক পরে তারুণ্য ফের প্রাণ পেয়েছে। নানা আয়োজনে ক্যাম্পাস মুখরিত।
30 mins read
গ্রামের মহিলাদের কোন বন্ধু নেই
কোন সই নাই কা। বাড়ির বউ-ছেল্যার আবার সই থাকবে ক্যানরে ব্যাটা ? আমরা ওই রকম মাইয়্যা-ছেল্যা না। আমরা স্বামীর সাথে কথা ব্যুলি, তার বাদে শাউড়ি আছে, জাল আছে। কাম কুর্যাই দিশা নাই আবার প্যাটের কথা, না না বেটি আমরা তেমুন মাইয়্যা-ছেল্যা না। আমাগের ইজ্জত আছে।
7 mins read
‘কালো’ মিতুর মৃত্যু ও মনোজগতের ফরসা-অন্ধকার
গণমাধ্যম যেমন সমাজের প্রচলিত চাহিদাকে জিইয়ে রাখতে ও শক্তিশালী করতে পারে, তেমনি নতুন মতও নির্মাণ করতে পারে। বিজ্ঞাপন, নাটক, চলচ্চিত্র, গল্প-কবিতা ও রূপকথায় কেবল ফরসা নারীর যে মিথ তৈরি করা হয়েছে, হচ্ছে, যা ছড়িয়ে পড়ছে সমাজের সবখানে এবং সেই আকাঙ্ক্ষায় পুড়ে যাচ্ছে অসংখ্য মিতু আক্তারের জীবন।