4 mins read
রোদ্দুর ও জীবনের গান
ডানা-ভাঙ্গা পাখিও আজ রৌদ্রে শুকাতে দিয়েছে ডানা
আহ রোদ্দুর!
কুঁকড়ে থাকা পেলব ফড়িং ঘাসের ঘ্রাণে মাতোয়ারা
ছুটছে ছন্দে
পরম আনন্দে।
কে দেয়নি প্রেম
কে কৃপণ ছিলো ভালবাসায়,
ইলিশ মাছে সর্ষে না পোস্ত
কী বেশি ভালো যায়
সে প্রশ্ন অবান্তর।
রোদ্দুর জানিয়ে দিয়েছে সাফ সাফ
আসলে মানুষকে তুমি শেষ পর্যন্ত ঠেকাতে পারো না;
হারানোর ভয়
না পাওয়ার বেদনা
ইট দিয়ে থেঁতলে দেয়া কোমর
মুচড়ে দেয়া মন
পুড়িয়ে দেয়া দোকান
গুড়িয়ে দেয়া ঘর
সব পেছনে ফেলে
মানুষ কিন্তু ফের দাঁড়াতে পারে।
এ সময় আলো ফুটবার, সূর্যের আলো-
থেঁতলে যাওয়া মনটাকে ফের শুকোতে দিলাম।
মা আলতা রানী রায় চাল-কুমড়োর বড়ি খানিক
শুকাতে দিও আঙ্গিনায়, জয়ন্তী আসবে ।
কদিন বাদে বর্ষায় জীবন হবে সবুজ-রঙ্গিন,
শোল-গজারের গায়ে সাদা ফুটকি জ্বলজ্বলে হবে,
আর কার্তিকের সন্ধ্যায় ফের জ্বলবে জোনাকি-
তুষ-পোড়া ঘ্রাণের পথে বাড়ির মেয়েরা ফিরবে বাড়ি।
গৌরচন্দ্র পাল, বামুনিয়া গ্রামের মাটির মানুষ-
মাটিতেই বসবাস, মাটির কারিগর;
ভেঙ্গেছে যারা নির্মাণ তাঁর, জানে নাই-
ফের বানাবেন তিনি মাটির হাঁড়ি, মাটির ভাঁড়
রোদ্দুর সেঁকবে সে মাটির জীবন।
আর আমার ছোট সাধ
জাহাঙ্গীর নগরে যাবো একদিন,
লেকে বসে যে পরিযায়ী পাখিদের মেলা , সে মেলায়-
যাবো কোন বন্ধুর সাথে কোন এক তুমুল শীতের হল্লায়,
তেমন দরদী কোন বন্ধু জোটেনি বলে দেখা হয়নি আজও।
এ শীতও গিয়েছে যাক-
ফের শীতে কুয়াশার ঘ্রাণ ধরে ঠিক চলে যাবো।
জীবনের এমন সব তুমুল আয়োজন
কে ঠেকাতে পারে?
ঠকাতে যদিবা পারো
জীবনকে শেষ পর্যন্ত ঠেকানো যায় না।
Your Opinion